যে ৩টি কার্যকর পদক্ষেপ নিলে ফেসবুক পোস্ট আপনার পেজ ভিজিটরদের কাছে অনেক বেশি ইনগেজিং হয়ে উঠবে!!
সবসময় পদক্ষেপ বা কৌশল সম্পর্কে নয় বরং আপনাকে জানতে হবে কিভাবে কনটেন্টের মাধ্যমে গভীর সম্পর্ক তৈরি করা যায়। এমন কিছু বিষয় মাথায় রেখে সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য কনটেন্ট তৈরি করতে হবে যেসব দেখা মাত্রই ক্রেতা এর সাথে নিজেকে কানেক্ট করতে পারবে।
ফেসবুকে এলগরিদম অনুযায়ী কোন পোস্ট যদি অডিয়েন্সের মাইন্ডে টাচ করতে না পারে তাহলে সেরকম পোস্ট ১০০ টা করে সময়তো নষ্টই, সাথে সাথে সেল বাড়াতো দূরের কথা, ব্র্যান্ড ভ্যালু কমে যাওয়ার রিস্কটাও বেশি। যা সেল কমে যাওয়ার জন্য সবচাইতে বড় দায়ী।
খেলতে হবে মাইন্ডগেম:
ফেসবুকে যে পোস্ট করবেন, সেটা মানুষের মাইন্ডকে ছুঁয়ে যাবে, সেটার জন্য কনটেন্ট তৈরিতে অনেক অনেক রকম কার্যকরী দিক রয়েছে।
সহজ একটা সূত্র মেনে কন্টেন্ট তৈরি করলেও মানুষের মাইন্ডকে টাচ করার টার্গেট পূরণ করতে পারবেন। মনে রাখতে হবে মানুষ ব্রেইন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে টাকা খরচের ব্যাপারে কিপ্টামি করে। মানুষের পকেট খালি হয় হার্ট বা হৃদয়ের প্ররোচনায়। আমরা সেই গেমটি খেলব যেটি দিয়ে মানুষের হৃদয়কে প্ররোচিত করা যায়।
কিভাবে কনটেন্ট তৈরি করলে সেটা সেলস -এ ইমপ্যাক্ট ফেলবে:
Solution:
আপনি যে প্রোডাক্ট সেল করার জন্য কনটেন্ট তৈরি করছেন সেই প্রোডাক্ট এর ফিচার নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করলে, সেটা মানুষের ব্রেইনকে টাচ করবে কিন্তু হার্টকে টাচ করবে না। তাই হার্টকে টাচ করার জন্য কনটেন্ট লিখতে হবে, তাহলেই অন্যের পকেট থেকে টাকা বের করতে পারবেন। হার্টকে টাচ করতে হলে ফিচার নয় প্রোডাক্টটি কি সলিউশন দেবে সেটি নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।
Emotion:
ইমোশনালি টাচ করেই বেশিরভাগ ব্র্যান্ড তাদের পণ্যকে সেল করে ইনকাম করছে কোটি কোটি টাকা। আপনার সেলস কন্টেন্টটাও ইমোশনাল কনটেন্টে রুপান্তর করে দেখুন সেলসের ম্যাজিক।
Recreation:
মোমেন্টাম কন্টেন্ট বা সোশ্যাল মিডিয়াতে সমসাময়িক সবচাইতে আলোচিত ঘটনার সাথে রিলেট করে কোন কনটেন্ট তৈরি করলে ফেসবুক অডিয়েন্স কে সবচাইতে ভালো বিনোদিত করে। তাই ফেসবুকে রিচ কমিয়ে দেওয়ার পর বেশিরভাগ ব্র্যান্ড এবং ব্র্যান্ডিং টিমের কাছে মোমেন্টাম কনটেন্ট খুব বেশি জনপ্রিয়।
উপরের তিনটা পয়েন্ট মাথায় রেখে আপনার কনটেন্ট তৈরি করে দেখুন, আপনার ব্র্যান্ড খুব দ্রুত আলোচনায় চলে আসছে এবং সেলস এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।